ঈদের আগেই ব্যবস্থা নিবে প্রশাসন সিরাজগঞ্জ শহরে অস্বাভাবিক যানজট, চরম জনদূর্ভোগ

প্রকাশিত: ১০:৩৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৪, ২০২৫

সিরাজগঞ্জ শহর অস্বাভাবিক যানজটে পরিণত হয়েছে। এতে গোটা শহর এখন চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং, ফুটপাত দখল করে দোকান স্থাপনে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে রিকশাজটের নগরে পরিণত হয়েছে এ শহর।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রমজানের আগে থেকেই শহরে এ যানজট এবং রমজান শুরুর পরবর্তী থেকে এ যানজটের প্রভাব বাড়ছে। আর আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে শহরের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে দিনভর রিকশাজটে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে শহরবাসী। তবে উল্লেখযোগ্য যানজটের এলাকাগুলো হলো, শহরের বড়বাজার, মুজিব সড়কের পদ্মপুকুর মোড়, ভাসানী কলেজ মোড়, এক নম্বর খলিফা পট্টি মোড়, রেলগেট, বাজার স্টেশন, চৌরাস্তা, কাঠেরপুল, কলেজরোড ও কালিবাড়ি সড়ক। এসব এলাকায় দিনভর যানজট লেগেই থাকে। এসব স্থানে রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজি ছাড়াও বাস, টস্খাক, বালাবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন ভারী যানবাহন চলাচল করে।

এসব যানবাহন ট্রাফিক আইন অমান্য করে বেপরোয়া গতিতে চালানো হয়। এ কারণে ছোটখাট দূর্ঘটনাও ঘটে। ভূক্তভোগীরা বলেন, শহরের বড় বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ট্রাফিক শৃঙ্খলা না মানার কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। শহরে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের চালকেরা আইন না মানার কারণেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। মনে হয় দেশে আইনকানন নেই, যা ইচ্ছে তাই করছে। জেলা ট্রাফিক পুলিশ ও পৌর ট্রাফিক বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা বলছেন, এ ছোট্ট শহরে রাস্তার ত‚লনায় অটোরিকশা ও ইজিবাইকের সংখ্যা প্রায় ৩ গুন। বেআইনিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলেই তদবির ও প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে। এ কারণে দায়িত্বরতরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়।

বিশেষ করে বেপরোয়া ভাবে রিকশা চলাচল ও ফুটপাতে দোকান বসায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ঈদের অনেক আগেই শহরে যানজট মুক্ত করতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যেই শহরের অনেক স্থানে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন।