মানববন্ধনের প্রস্তুতিকালে হামলা, পুলিশসহ আহত ৫

প্রকাশিত: ৫:৫৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ৮, ২০২৫

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে একটি মানববন্ধনের প্রস্তুতিকালে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পুরাতন মেঘাই বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, একটি হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলমের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগে স্থানীয়দের মানববন্ধনের প্রস্তুতিকালে এ হামলা করা হয়। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সরেজমিনে জানা গেছে, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৪ ডিসেম্বর কাজীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবলুর সিংড়াবাড়ি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে বাবলুর স্ত্রী-পুত্রসহ ছয়জন আহত হন। এ ঘটনায় বিএনপি নেতার ছেলে মেহেদী হাসান সুমন বাদী হয়ে কাজীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুলসহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। পরে আসাদুলও হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ এনে ১৬ ডিসেম্বর বিএনপি নেতা বাবলুর ৪ ছেলেসহ ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার পর থেকে ওসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান বাবলু। এই অবস্থায় ৫ মার্চ স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুলের করা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এতে ক্ষুব্ধ হন বিএনপি নেতা বাবলুর কর্মী-সমর্থক ও এলাকাবাসী। ওসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে তাঁকে অপসারণের দাবিতে গতকাল সকালে এলাকাবাসীর উদ্যোগে মেঘাই বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনের খবর পেয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আসাদুলের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় এক পুলিশ কনস্টেবলসহ পাঁচজন আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে।

এ বিষয়ে মিজানুর রহমান বাবলু বলেন, ‘মামলা করার পর থেকে ওসি পক্ষপাতমূলক আচরণ করে আসছে। আমার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় আমার ছেলে বাদী হয়ে মামলা করে। এ মামলার খবর পেয়ে আসাদুল দুই দিন পর কাউন্টার মামলা করে। অথচ আমার মামলার অভিযোগপত্র না দিয়ে আগে আসাদুলের মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে। বিষয়টি কাজীপুরের সবাই জানে। এই পক্ষপাতমূলক আচরণের কারণে এলাকাবাসী ওসির অপসারণের জন্য মানববন্ধনের প্রস্তুতি নেয়। এমন সময় লাঠিসোঁটা এনে হামলা করা হয়। এতে আমার চার-পাঁচজন ছেলে আহত হয়েছে।’

এ বিষয়ে মন্তব্য নিতে কাজীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুলকে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।

কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম বলেন, ‘পক্ষপাতের অভিযোগ সঠিক না। দুজন অফিসারকে দুটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আসাদুলের মামলার তদন্তকাজ শেষ হয়েছে। বিএনপি নেতা বাবলুর ছেলের মামলাও তদন্তকাজ শেষ পর্যায়ে। কোনোটিই আদালতে পাঠানো হয়নি। এখানে ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে।’