একটি ব্রিজের দাবি বর্ষায় নৌকা আর শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাকোই ভরসা এলাকাবাসীর

প্রকাশিত: ১১:৫৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০২৫
Oplus_16908288

সিরাজগঞ্জে তাড়াশে  গুমানী নদীতে বাঁশের সাঁকো ও খেয়াঘাটের নৌকাই এলাকাবাসীদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। বহুদিন ধরে এ নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি করেছেন স্থানীয়রা। তাছাড়াও শিক্ষার্থীদের স্কুল, কলেজে যাতাযাত মারাত্বক অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে ।

এই নদী পারাপারে রিকশা-ভ্যান, সিএনজি ও ইজিবাইক সহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারে না। আর এ কারণে এ এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষ এপার থেকে ওপারে চলাচলের জন্য শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মোসুমে ডিঙ্গি নৌকা ছাড়া চলতেই পারে না। নদীর পানি শুকিয়ে গেলে চলাচলের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। আর নদীতে পানি বেড়ে গেলে পারাপারের জন্য নৌকা পাওয়া কস্টকর ব্যাপার হয়ে দাড়ায়। তখন আপামর জনতার ভোগান্তির শেষ থাকে না। প্রতিদিন যাতায়াত করা স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবিসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ চলাচল করে থাকেন এই গুমানী ঘাট দিয়ে। এখানে একটি সেতুর অভাবে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে অত্র এলাকার বাসিন্দাদের।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গুমানী নদীর ঘাট নামক স্থানে একটা সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এখানে সেতু না থাকায় বাঁশের নড়বড়ে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছেন শিক্ষার্থী ও পথচারীরা।

স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত খাদ্যশস্য, কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন কাঁচামাল বাজারজাতকরণে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এসব এলাকার মানুষের। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে যানবাহন নিয়ে চলাচল করতে হয়।

ধামাইচ গ্রামের মোঃ আনোয়ার আমিন ও শহিদুল মহরীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, এখানে সেতু না থাকায় বর্ষা মৌসুমে খেয়া নৌকা আর শুক্ন মৌসুমে বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়েই পারাপার হতে হচ্ছে শিক্ষার্থী সহ আমাদের মতো শত শত পথযাত্রীদের। এখানে পারাপারের জন্য সেতু নির্মাণ করা হলে সবার উপকারে আসবে। জনগনের দুর্ভোগ দুরি করণে গুমানী নদীর ঘাট নামক স্থানে সেতু নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোড় দাবি জানিয়েছেন অত্র এলাকাবাসী।

তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী মো ফজলুর হক   জানান, গুমানী নদীর উপরে ব্রিজ নির্মাণের প্রকল্পটি আমাদের হেড অফিসে পাঠিয়েছি। পাস হলেই আমরা ব্রিজ  নির্মাণ করতে পারব।