মাদরাসার অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৫ জন

প্রকাশিত: ৫:৪০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মাদরাসার অ্যাডহক কমিটি গঠন করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় অন্তত পাঁচ জন আহত হয়েছেন। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) খড়খড়িয়া বিনোদপুর কুসুম্বী দাখিল মাদরাসায় এই ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন কুসুম্বী গ্রামের বাসিন্দা মো. শাহিন (৪৫) তুহিন (৪৮) এবং নিজাম উদ্দিন (৪২) ও শাহিনের শিশু ছেলে সাদিকসহ (৫) পাঁচজন। আহত এক ব্যক্তির পা ভেঙে যাওয়ায় সিরাজগঞ্জ হাসপাতাল এবং দুজনকে তাড়াশ উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খড়খড়িয়া বিনোদপুর কুসুম্বী দাখিল মাদরাসার অ্যাডহক কমিটি গঠন করার জন্য মাদরাসার সুপার মো. আব্দুল হামিদ একটি সভা শুরু করেন। এ সময় এলাকার কয়েকটি গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তি যোগদান করেন। এতে আলোচনার এক পর্যায়ে মাদরাসা এলাকার বাসিন্দা প্রভাষক আব্দুল কাদের, প্রভাষক ওয়বায়দুল ইসলাম ও আনিছুর রহমান তাদের পছন্দের প্রার্থীকে মাদরাসার অ্যাডহক কমিটির সভাপতি করার জন্য প্রচেষ্টা চালান। যা নিয়ে দফায় দফায় বাগবিতণ্ড হয়।

দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ওই সভায় এডহক কমিটির সভাপতি করা নিয়ে কোনো সমঝোতা না হওয়ায় মাদরাসার সুপার সভাটি স্থগিত করেন।

উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ সভাস্থল ত্যাগ করে চলে যেতে থাকেন। প্রভাষক আব্দুল কাদের ও আনিছুর রহমানের অনুসারী শাহিন, তুহিন, নিজাম উদ্দিন ও শাহিনের পাঁচ বছর বয়সি ছেলে সাদিক দুপুর পৌনে ১টার দিকে একটি আটো ভ্যানে করে মাদরাসার সভা থেকে কুসুম্বী গ্রামের বাড়ি ফিরছিল।

তারা ফেরার পথে কুসুম্বী বটতলায় পৌঁছালে প্রভাষক ওয়বায়দুল ইসলামের অনুসারী কয়েকজন লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আব্দুল কাদেরের অনুসারীদের ওপর হামলা করে।

এতে শাহিনের পা ভেঙে যায়। তুহিনের মাথা ফেঁটে রক্তাক্ত হয়ে পড়েন পাশাপাশি নিজাম উদ্দিন, শিশু ছেলে সাদিকসহ পাঁচজন আহত হয়।

তবে প্রভাষক ওয়বায়দুল ইসলামের অনুসারীদের হামলা প্রসঙ্গে বক্তব্য জানার জন্য ওয়বায়দুল ইসলামের মুঠো ফোনে বার বার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এই হামরার জন্য প্রতিপক্ষ ওয়বায়দুল ইসলামের অনুসারীদের দায়ী করেন প্রভাষক আব্দুল কাদের। সেই সঙ্গে এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের উপযুক্ত বিচার দাবি করেন তিনি।

মাদরাসার সুপার মো. আব্দুল হামিদ বলেন, সভায় উত্তেজনার প্রেক্ষিতে সভাটি স্থগিত করা হয়। তবে হামলার ঘটনা মাদরাসা এলাকায় হয়নি, অন্য স্থানে হয়েছে।

তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. নাজমুল ইসলাম জানান, মারামারি হচ্ছে এমন খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে এ ঘটনায় কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি।